ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে পুনর্গঠনের পথে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে আছে লাখো মানুষ। দুই কোটিরও বেশি মানুষের বসবাসকারী অঞ্চলে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে, অনেক শহর কার্যত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব এলাকার সম্পূর্ণ পুনর্গঠনে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। দেশটি বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহযুদ্ধের কবলে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই বিদেশি সহায়তার দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক বা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তবে আশা এখনও একেবারে ফুরিয়ে যায়নি। চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো ইতোমধ্যে জরুরি সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা আহ্বান জানিয়েছে।
পুনর্গঠনের এই যাত্রা সহজ হবে না, তবে বৈশ্বিক সহানুভূতি ও সহযোগিতা থাকলে মিয়ানমার আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে—এমনটাই আশাবাদ সকলের।