কিংস্টন টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারার পর শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তি পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার জেইডেন সিলস ও কেভিন সিনক্লেয়ার। ম্যাচ চলাকালীন এই দুই খেলোয়াড়ের আচরণ ছিল অপ্রত্যাশিত ও আক্রমণাত্মক।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারে মাহমুদুল হাসানকে আউট করার পর সিলস সফরকারী দলের ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গী করেন। অন্যদিকে, বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে থাকা সিনক্লেয়ার আম্পায়ারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটির সময় এবং লিটন দাস ক্রিজে আসার পর তাঁর শরীরী ভাষা ছিল অস্বাভাবিকভাবে উগ্র।
এই আচরণের কারণে দুই ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সিলসকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সিনক্লেয়ারকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তাঁর নামের পাশেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। দুজনেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
সিলস ভেঙেছেন আইসিসির আচরণবিধির ২.২০ নম্বর ধারা এবং সিনক্লেয়ার ভেঙেছেন ২.২৪ নম্বর ধারা। উল্লেখ্য, এটি দুজনেরই গত ২৪ মাসে প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা।
বাংলাদেশের কাছে ১০১ রানে হারা এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন কুমার ধর্মসেনা ও আসিফ ইয়াকুব। তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন নিতিন মেনন এবং চতুর্থ আম্পায়ার জাহিদ ব্যাসারাথ। তাঁরাই সিলস ও সিনক্লেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
আইসিসির লেভেল ওয়ান পর্যায়ের আচরণবিধি ভাঙার সর্বনিম্ন শাস্তি হলো সতর্কবার্তা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হলো ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ১ থেকে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। কোনো খেলোয়াড় ২৪ মাসে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তা সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয় এবং খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হন। দুটি সাসপেনশন পয়েন্টে একজন খেলোয়াড় একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে/টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেন না।