তুমি কোথা থেকে ছুটে এলে স্বপ্ন কুমার!
আমি যে পাহাড় পাথর মরুভূমি,
ক্লান্ত চেয়ে আছি তোমার পানে।
প্রভাত, দ্বীপ্রহর, সোনালী বিকেল শেষে
এলে গোধূলির নীলাভ আলো হয়ে।
বেলা যে ডুবে ডুবি করছে!
সন্ধ্যা হাতছানি দিয়ে ডাকছে,
ডুবে যাচ্ছে নিশিতের অন্ধকারে।
তবুও আমি হারিয়ে যাই বারবার,
আমার তাপিত হৃদয়ের ভীষণ খরায়-
কালো মেঘ ভেঙে চুরে
এক পশলা বৃষ্টি দিলে
আমার চৌচির তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে।
কতকাল আগে আসার কথা ছিলো বলতো?
বড্ড দেরি হয়ে গেলো শুভঙ্কর!
জীবনের ফাঁকি ঝুঁকিতে বড় ক্লান্ত আমি!
নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস
নিত্যদিনই ক্রম হ্রাসমান।
বড় আশাহীনতায় ভুগি আজকাল!
তবুও শান্ত নদীতে ভীষণ ঢেউয়ের মাতম!
তুমি আসবে বলে ভয়ংকর ঝড় উঠেছে মনে।
প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়! টর্নেডো!
আরো নাম না জানা কতো কী!
মুহূর্তেই জলোচ্ছ্বাস ঘটায় ফুল ফসলের মাঠে।
আমার বড় ভয় হয়! বড় ভয়!
আমি কুকড়ে যাই মুছড়ে যাই –
দমকা হাওয়ায় ভেসে যাই!!
অনন্ত এলেই যখন-
মুড়ে দাও আমায় অনন্তকালের নির্মল ভালোবাসায়।
আমি যে বড় কাঙাল!! বড় কাঙাল অনন্ত!
কোজাগরী চাঁদের আলোয়
ভেজার বড় সাধ হয় আমার!
সাধ হয় পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে
ঝর্ণার গান শুনতে।
সাগরের নীল জলের গা ছুঁয়ে
নোনা বালির পথ ধরে
বহু দূর হেটে যেতে চাই তোমার আঙ্গুল ছুঁয়ে।
অরণ্যের অনন্য ছায়া দাও
আমায় অনন্তকাল ধরে।