ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ মহামায়া ইকোপার্কে গত কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিশু, তরুণ, পরিবারসহ সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পার্কটি।মহামায়া বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের ইজারাদার মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন, “পর্যটকদের জন্য এখানে রয়েছে উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট ও রিসোর্ট। নিরাপত্তার জন্য পুরো পার্ক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।”
অন্যদিকে, ঈদের ছুটিতে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও বেড়েছে পর্যটক সমাগম। গত ১১ দিনে প্রায় ৮ লাখ পর্যটক হোটেল–মোটেল ও কটেজে অবস্থান করেছেন। এছাড়া বহু মানুষ থেকেছেন ভাড়া বাসা ও খোলা জায়গায়।
ছবি: কক্সবাজার সংগৃহীত
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিজন পর্যটকের গড় ব্যয় ছিল দিনে প্রায় ৭ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট ৬০০ কোটির বেশি।
পর্যটকেরা শুধু সৈকতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, তারা ঘুরেছেন হিমছড়ি ঝর্ণা, ইনানী পাথুরে সৈকত, টেকনাফ, মহেশখালীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। তবে কিছু পর্যটক অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগও করেছেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ-উৎসব কেন্দ্রিক এমন পর্যটনপ্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।