২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জীবাশ্ম জ্বালানি রফতানিকারক দেশ অস্ট্রেলিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূণ্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আগামী মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ এর আগ মুহুর্তে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত মিত্র যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যেখানে আরো দ্রুততম সময়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেখানে দেশটির এই দীর্ঘসূত্রতার ঘোষণা তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়লা এবং গ্যাস সরবরাহে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জীবাশ্ব জ্বালানির ব্যবহার শেষ করা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা জানাননি। এমন কী কপ ২৬ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে যে লক্ষ্য অর্জনের কথা, সে লক্ষ্য সম্পর্কেও জানায়নি।
মরিসন কম কার্বন নিঃসরণ প্রযুক্তি স্থাপনে আগামী ২০ বছরে ২০ বিলিয়নের বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু স্বল্প মেয়াদে হলেও গ্যাসের আরো ব্যবহার করতে চায় অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে দেশটির কোনো পরিকল্পনা নেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব থামাতে ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে দেশগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন শূণ্য পর্যায় অর্জনে শতাধিক দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।