‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’ ২৬শে জানুয়ারী

আবুল কালাম আজাদ খোকন:
যথাযোগ্য মর্যাদা আর রাষ্ট্রীয় নীতি মেনে অস্ট্রেলিয়ার পালিত হয়েছে জাতীয় দিবস ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।ঐক্য ও উদযাপনের জন্য অস্ট্রেলিয়ান দিবসে দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া সরকার, স্থানীয় কাউন্সিল, কমিউনিটি গ্রুপগুলোয় দিবসের আয়োজনকে কেন্দ্র করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের প্রতিফলন।প্যারেড, সরকারি সম্প্রদায়ের পুরষ্কার, নাগরিকত্ব অনুষ্ঠান,পিকনিক, আতশবাজি এবং অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের নতুন সদস্যদের স্বাগত জানানোসহ নানা আয়োজন। বিভিন্ন পটভূমি থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী সংস্কৃতির মানুষও দিনটি পালন করেন। এ ছাড়াও বিভিন্নস্থানে লাইভ কনসার্ট, কর্মশালা, প্রবীণদের প্রোগ্রাম, রকমারি খাবারসহ নানা আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রীয় বিশেষ অবদানের জন্য এই দিনটিতে ‘অস্ট্রেলিয়া অব দ্যা ইয়ার’ পদক প্রদান করা হয়। এবার ‘অস্ট্রেলিয়া অব দ্যা ইয়ার’ পেয়েছেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ডা: জেমস মুউকে। ২০১৮-১৯ সালে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মধ্য থেকে ১,২৭,৬৭৪ জন অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তারমধ্যে ইটালিয়ান ৭০৮ জন পেয়েছেন এবং তাঁরাই সর্বাধিক সংখ্যক।
১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্র উপকূলের সিডনির বোটানি বে এর কারনেলের নিকটে বৃটিশ নাগরিক লেফটেন্যান্ট জেমস কুক অনুসন্ধানের প্রথম দাবি করেন। ১৭৮৮ সনের ২৬ জানুয়ারী ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপের নেতৃত্বে প্রথম ব্রিটিশ নৌবহর সিডনির পূর্ব সমুদ্র সৈকত কোভের পোর্ট জ্যাকসনে ভিড়ে এবং গ্রেট ব্রিটেনের পতাকা উত্তোলন করে উপনিবেশিক স্থাপনা করেন।
১৮১৮ সনের ২৬ জানুয়ারি গভর্নর লেকলান মেকুয়ারী প্রথমে দিবসটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদযাপন করার জন্য ঘোষণা দেন। ১৮৮৮ সনে অ্যাডিলেড ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলো অষ্ট্রেলিয়াবার্ষিকী দিবস হিসাবে পালন করা শুরু করে। আর ১৯৩৫ সনে প্রতিটি রাজ্যে সম্মিলিতভাবে ‘অস্ট্রিলিয়া ডে’ হিসাবে পালন করা শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিটি রাজ্যে সর্বজনীন সরকারি ছুটি নাগরিকরা ভোগ করে।
এরপর ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার দিবসের অর্থ ও তাৎপর্য সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অথবা ঐতিহাসিকভাবে তারিখটিকে ‘বার্ষিকী দিবস’, ‘ফাউন্ডেশন ডে’ এবং ‘এএনএ ডে’ নামেও নামকরণ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবরিজিনাল বা আদিবাসীরা ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’কে একটি কালো অধ্যায় বা শোকের দিন হিসাবে মনে করেন। এ বৎসর অষ্ট্রেলিয়া ২৫০ বছর জম্মবার্ষিকী। ২৮-০১-২০২০ ইং।
- « করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬
- সন্দ্বীপে নিরাপদ পানি পয়ঃনিস্কাশন ও স্বাস্থ্যভ্যাস বিষয়ে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত »