সিডনিতে এগিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের সাথে ফুড শেয়ারিং প্রোগ্রাম

কোভিদ ১৯ এর ভয়াবহতায় অস্ট্রেলিয়ায় চাকরী হারিয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। সেই সাথে ৮০% বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীও জীবন ধারণের পার্ট টাইম কাজ হারিয়ে আজ দিশেহারা। এদিকে দেশেও সমস্যা, পরিবারকে বলা যাচ্ছে না কিছুই, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াতে আয় পুরোপুরি বন্ধ। অনেকের বাড়ি ভাড়া দেয়া, এমনকি দৈনন্দিন বাজার খরচ দেয়াও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবাস জীবনে এই প্রথম অসহায় পরিস্থিতি পড়া প্রবাসী ছাত্রদের বিপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটি। সিডনি থেকে প্রচারিত মুক্তমঞ্চ পত্রিকার সম্পাদক অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীমের তত্ত্বাবধায়নে একটি কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া দেয় প্রবাসীরা। ‘ফুড শেয়ারিং’নামে দুপুর ও রাতের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন দলমত নির্বিশেষে একটি বড় টিম, যার অন্যান্যরা হচ্ছেন, প্রখ্যাত সেফ চমন রহমান, কোরিওগ্রাফার সালমিন সুলতানা, নাহিয়ান আজমল, ডাঃ লাভলী রহমান, এড নির্মল্য তালুকদার, প্রফেসর ডাঃ আবুল হাসনাত মিল্টন, আলী আশরাফ হিমেল, মহিউদ্দিন কাদের, মোহাম্মাদ কবির, শাহ নেওয়াজ আলো, সেফ গৌতম সাহা, সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটো, কাজী আরমান, অপু সারোয়ার, আরিফুর রহমান, আমিনুল ইসলাম রুবেল, শাকিল মল্লিক সহ অনেকে। বাঙালী পাড়া খ্যাত সিডনির লাকেম্বার ‘নার্গিস রেস্টুরেন্ট’এর কিচেন সুবিধাটি প্রবাসী বাঙালী ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে খুলে দিয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেইন। কমিউনিটির শত প্রবাসীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চাল-ডাল-মাংসসহ যখন যা লাগের তার একটি বিশাল মজুত গড়ে দিয়েছেন। এই টিমটি তাদের দৈনন্দিন চাকরি ছেড়ে দিয়ে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রবাসী ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা অর্জন করেছে। সিডনির বাঙালীরা বলছেন, দেশ থেকে আসা একজন ছাত্রও কষ্ট যাতে না পায়, তাঁর জন্য যা করা দরকার আমর করবো। উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘ফুড শেয়ারিং’ শুরু হয়েছে গত ৫ই এপ্রিল, থাকবে আগামী দেড় মাস, প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবার নিয়ে। এখানে এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টি খাবার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রবাসী ছাত্রদের।

- « করোনাকালে মানবতার সেবায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের নানাবিধ উদ্যোগ
- সিডনি প্রবাসী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে সিডনি প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিল »