লাকেম্বা যেনো সুনসান মৃত্যুপুরী

কয়েকদিন আগেও সিডনির বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা লাকেম্বা ছিলো সরগরম৷ দিনভর বাংলাদেশীদের পদচারনায় মুখর থাকতো লাকেম্বার রেলওয়ে প্যারেড৷ আর রাতের লাকেম্বা তো আরও আকর্ষণীয় ছিলো৷ একদম বাংলাদেশের স্টাইলে চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে পান সিগারেট৷ চলতো মধ্যরাত পর্যন্ত রাজনৈতিক আড্ডাবাজিও৷

বাংলাদেশের নির্বাচন, খালেদা জিয়া নাকি শেখ হাসিনা, কার কি হাল হকিকত, সবই জানা যেতো লাকেম্বায়৷ মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে সেই লাকেম্বাই আজ যেনো মৃত্যুপুরী৷ খুব কম মানুষই পা রাখছেন এখানে৷

দুজনের করোনা পজেটিভ হওয়ার পরেই হয়েছে এই আমূল পরিবর্তন৷ লাকেম্বার এটুজেড মেডিকেল ক্লিনিকে কর্মরত দু’জন চিকিৎসকের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়। এর আগে আক্রান্ত হওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দু’জনের যোগসূত্র ছিলো। তবে, সেই ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ৷

ফলে মানুষ অন্তত ১৪ দিন না গেলে লাকেম্বায় আসতে ভয় পাচ্ছে৷ করোনার শুরু থেকেই লাকেম্বায় এর প্রভাব ছিলো সামান্যই৷ বরং লকডাউনের কারনে অনেকের জব না থাকায় আড্ডার বাজার ছিলো জমজমাট৷ কিন্তু হঠাৎই সব উলোটপালোট করে দিলো করোনা৷ দুজনের পজেটিভ আসায় মানুষ ভীষণ ভয় পেয়েছে৷

লাকেম্বার এক ব্যাবসায়ী বলেন,”এভাবে চললে তো বিজনেস ধরে রাখাই মুস্কিল হবে৷ আমাদের সারা দিনে ১০ জন কাষ্টমারও আসেনি৷ “
এর আগেই লাকেম্বার এক ব্যাবসায়ী রেস্টুরেন্টে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন বিজনেসের মন্দার কারনে৷ বাংলাদেশের প্রবাসী পরিচিতমুখদের অনেকেই লাকেম্বায় থাকেন এবং লাকেম্বাকেন্দ্রীক বিজনেস করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ ফলে নতুন করে করোনা ধরা পরায় অনেকেই জীবিকা নিয়ে চিন্তায় আছেন৷

- « প্রাণ ফিরে পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার নিলাম বাজার
- চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা মাঈনুদ্দীন মোহাম্মদ মাঈনুলের পক্ষ থেকে গোলাম আরেফিন হিমেলকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা। »