বুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়া ‘এমএল মর্নিং বার্ড’ ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার।

গত সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ ভেঙে দু-টুকরো হয়ে নদীতে ডুবে যায়।দুই চালকের অসতর্কতায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পানিতে ডুবে প্রাণ হারান ৩২ জন নিরীহ যাত্রী।নিহতদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা।
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (এসএসএমসি) হাসপাতাল থেকে গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে সবকটি লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ দুর্ঘটনায় দুটি লঞ্চের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন সনদ স্থগিত করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। ময়ূর-২ লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে। তবে লঞ্চের চালক পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার নৌ-আদালতে মামলা দায়ের করা রয়েছে। এদিকে লঞ্চ চাপা দেওয়া এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সদরঘাটের নৌ-থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাত আসামি হলেন, এমভি ময়ূরের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদ (৩৩), লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার কর্মচারি মো. আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. জাকির হোসেন (৫৪), ইঞ্জিন চালক ড্রাইভার শিপন হালদার (৪৫), ড্রাইভার শাকিল হোসেন (২৮), কর্মচারি সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও মো. হৃদয় (২৪)।
- « আবারো মহামারির শঙ্কা!চীনে ছড়াচ্ছে আরেক ভাইরাস!
- সাপোর্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান। »