বিশ্ব পানি দিবস – ২২ মার্চ-পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন’।

বিশ্ব জল দিবস বা বিশ্ব পানি দিবস হল জল বা পানির গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক বার্ষিকভাবে উদযাপিত একটি দিন।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ সভা ২২ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব জল দিবস বা বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা যেন কোনোভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত না করে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষে তার বার্তায় বলেছেন, “প্রত্যেকেরই ভূমিকা পালন করতে হবে,” এবং সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন এই বৈশ্বিক উষ্ণতা আমাদের বসবাসের উপযোগী করতে হবে। বিশ্বে ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পানির চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। সেই চাহিদা মেটাতে গিয়ে পরিবেশের ওপর চাপ পড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তা পরিবেশের ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানিই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রেখেছে। নিরাপদ পানির অভাবে মানুষের স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ সমস্যা নিরসনে দরকার প্রকৃতিনির্ভর পানি ব্যবস্থাপনা।
জাতিসংঘের দেয়া এক তথ্য মতে, বিশ্বে বর্তমানে ২১০ কোটি মানুষ নিরাপদ সুপেয় পানি সেবা থেকে বঞ্চিত। ২০৫০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২০০ কোটি বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ যার বেশির ভাগই সেচ কাজে, শিল্প খাতে ২০ শতাংশ বিশেষ করে জ্বালানি ও উত্পাদনে, গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

- « মিরপুরে করোনায় মৃত ব্যক্তির ছেলে ফেসবুকে যা জানালেন
- স্থগিত খালেদা জিয়ার সাজা ” বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন “ »