প্রবাসীর দান পাহাড় সমান।

প্রবাস মানে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে কয়েকশ মাইল দূরে অন্য এক পরিবেশে অপরিচিত মানুষদের সাথে বসবাস করা।তার পরেও তারা শত কষ্টের মাঝেও পরিবার ও দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায়।জীবন যুদ্ধে এক অন্য রকম সৈনিক।তাদের যুদ্ধের কোন অস্ত্র নেই।মূল অস্ত্র দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখে অবিরাম কাজ করে যাওয়া।তারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের কাছে কিছুই চায়না, চায় শুধু একটু আন্তরিকতা ও ভালবাসা।আজ আমাদের পরিবার ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখছেন এই রেমিটেন্স যোদ্ধারা।তাদেরকে জানাই স্বাধীনকন্ঠ পরিবারেরর পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লার নাঙ্গল কোট পৌরসভার ২নং ওয়াডের ওমান প্রবাসী এক ভাই একজন অসুস্থ্য ব্যক্তির সাহায্যের জন্য ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন, তা মূহুর্তের মধ্যে নাঙ্গলকোট তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার প্রবাসে অবস্থানরত অনেকের নজরে আসে।খুব দ্রুত গতিতে প্রবাসী ভাইয়েরা সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন।মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য,একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না,এই প্রতিপাদ্য কে সত্যিই রুপান্তর করল রেমিটেন্স যোদ্ধারা।উপকৃত হল একজন অসহায় অসুস্থ্য ব্যক্তি।
যা আমরা দেশে থেকেও করতে পারি নাই। আমাদের দেশে অবস্থানরত অনেকেও বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেন।তবে রেমিটেন্স যোদ্ধারাই বেশি করে থাকেন।যেমন – মসজিদ, মাদ্রাসা,এতিমখানা সহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের সাহায্য অনেক বেশি। এটাতো একটা উদাহরণ -এরকম হাজারো প্রমাণ আছে প্রবাসী ভাইদের সাহায্যের।তাইতো বলি প্রবাসীর দান, পাহাড় সমান।দেশ এগিয়ে গেছে এগিয়ে গেছি আমরাও। কিন্তু কয়জন আছেন প্রবাসী ভাইদের সুখ দু:খের খবর রাখেন?পরিবার চায় অর্থ এমন কি বিভিন্ন রকম প্রসাধনি।এটা ভাবেনা তারা কিভাবে টাকাটা আয় করেন।তাই আসুন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সম্মান দিই এবং তাদের মানুষিক সুস্থ্যতায় পরিবার পালন করুক অগ্রণি ভূমিকা।
লেখকঃ দুলাল রাহাত
- « সৌদি প্রবাসীর আত্মকাহিনী।
- লিও ক্লাব অফ চিটাগং প্লাটিনাম এর দায়িত্ব হস্তান্তর ও ঈদ পুর্নমিলণী অনুষ্ঠিত। »