নাতি খুন হওয়ার শোকে নানিও পরপারে

চাচির হাতে খুন হওয়া শিশু দিহানের জেয়াফত ছিল বুধবার (২৯ এপ্রিল)। ইফতারের পরেই ছিল জেয়াফতের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন। এতে অংশ নিতে দিহানদের বাড়িতে আসেন তার নানী গোলজার বেগম (৫২)। পুত্রশোকে কাতর নিজ মেয়েকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন তিনি। ভেঙে পড়েন কান্নায়। এসময় তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। নাতির শোকে কাতর নানী বুকে ব্যথা উঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় দিহানের ঘরেই তার নানী গোলজার বেগমের মৃত্যু হয়।
গত ২৬ এপ্রিল ফটিকছড়িতে চাচির হাতেই নৃসংশভাবে খুন হন ৪ বছরের শিশু দিহান। মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে নাতির শোকে ৪ দিনের মাথায় মারা গেলেন তার নানীও।
দিহানের আত্নীয় মো. রাশেদ বিষটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় দিহানের জেয়াফত উপলক্ষে তাদের বাড়ি আসেন তার নানী গোলজার বেগম। এ সময় নাতির শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি পড়ে যান। পরে তাকে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।’
রাশেদ আরও জানান, দিহানের নানীর ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে নিহানের মা তাঁর বড় মেয়ে। গোলজার বেগম ফটিকছড়ি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আহমদ রসিদের স্ত্রী।
গত ২৬ এপ্রিল ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্দং কালু বাপের বাড়ির লাকড়ির ঘর থেকে শিশু দিহানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে দিহানকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে তার চাচি রেশমা আক্তার। দিহানের শরীরে ১২টি কোপ দেয় তার ঘাতক চাচি।
নিহত দিহান পাইন্দং কালু বাপের বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চাচি রেশমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Source : ctgpratidin
- « জয়পুরহাটের এক ট্রাক চালক করোনা আক্রান্ত..
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মৃত্যু আরও ৫ জনের »