ধীর গতিতে হলেও ফ্রান্স খুব ভাল ভাবেই যুদ্ধ করছে অদৃশ্য শক্তি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে !

লক-ডাউনের ৩৮ তম দিন চলছে । আরও ১৮ দিন বাকি এবং এটা নিশ্চিত যে ১১ ই মে পর্যন্ত লক-ডাউন থাকবে। ১১ ই মে লক-ডাউন উঠে গেলেও, এর অর্থ এই নয় যে ফ্রান্স ভাইরাস মুক্ত হয়ে গেল। আমাদের স্বাভাবিক জীবন পেতে কতদিন লাগে তা মহান আল্লাহপাকই জানেন। প্রধানমন্ত্রী লক-ডাউন তুলে নেবার প্রক্রিয়া বিস্তারিত বলেছেন। ফরাসিদের গা-ছাড়া ভাব এখন আর নাই। ফলস্রুতিতে পরিস্থিতি দিন দিন খুব ধীরে হলেও ভাল হচ্ছে। আলোর পথ দেখা যাচ্ছে। এখন তা ধরে রাখতে হবে। গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে ৫১৬ জন ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ওল্ড-হোমে মারা গেছে, যা গতকাল থেকে ২৮ জন কম। গত পহেলা মার্চ থেকে এই পর্যন্ত হাসপাতালে মারা গেছে ১৩৫৪৭ জন এবং বৃদ্দাশ্রমে মারা গেছে ৮৩০৯ জন। টোটাল দাঁড়াচ্ছে ২১৮৫৬ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে মারা গেছে ৩১১ জন এবং বৃদ্দাশ্রমে ২০৫ জন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বৃদ্দাশ্রম গুলিতে মৃতের পরিমান কমে যাওয়ার অন্যতম কারন হলে ৪৫ % বৃদ্দাশ্রমের কম না হলেও একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং তাদের বেশীর ভাগই মারা গেছে। এরমধ্যে অনেকেই আবার বাসাতেই মারা গেছে। INSEE রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় প্রথম চার মাসে মৃত্যু হার ২০% বেশি। ২০০৩ সালে প্রবল তাপমাত্রায় শুধু আগষ্ট মাসে ফ্রান্সে ১৯০০০ মারা গিয়েছিল এবং ৮৩০০০ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৯২১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৫৩ জন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে, যা গতকাল থেকে ৫২২ জন কম। ICU তে ভর্তির সংখ্যা গতকাল থেকে ১৬৫ জন কমে এখন ৫০৬৩ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘন্টায় ICU তে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১৭৮ জন রোগী। মহামারীর আগে পুরা ফ্রান্সে ICU তে সর্বোচ্চ ৫০০০ জন চিকিৎসা করার সামর্থ ছিল। অন্যান্য রোগী সহ এখন ICU তে চিকিৎসাধীন আছে ৭৫৭৯ জন রোগী। সুতরাং ICU পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে এখনও অনেক দূর বাকি। ICU তে রোগী কমে যাওয়া মানে, ফ্রান্স সুস্থ হবার পথে। ফ্রান্সে টোটাল আক্রান্তের সংখ্যা ১২০৮০৪ জনের মত। আশার কথা হলো ইতিমধ্যে ৪২০০০ এর উপর সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন । প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬০০ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন। এরসাথে আরো কিছু যোগ করতে হবে যারা তাদের বাসায় লক-ডাউন অবস্থায় আছে এবং যারা সুস্থ্য হওয়ার পথে। দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আপনি বেড় না হয়ে প্রতি মিনিটে ৩/৪ জনের জীবন বাচাচ্ছেন আগে যা ছিল ৮ জন।

ইতিমধ্যে স্কুলের যাওয়ার প্রগ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিন সপ্তাহে ভাগ ভাগ করে ছাত্র/ছাত্রী স্কুলে যাবে। তবে স্কুলে যাওয়া না যাওয়া পুরাটাই নির্ভর করে শিক্ষার্থী এবং তার বাবামায়ের ইচ্ছার উপর। প্রতিটি মাস্কের দাম পড়বে ৫ ইউরো। লক-ডাউনের কারনে ফ্রান্সে ৬১৭০০ জনের জীবন রক্ষা পেয়েছে
- « চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা
- নগরবাসীকে রমজানের শুভেচ্ছায় চসিক মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী »