করোনা থাবায় অচল চট্রগ্রাম বন্দর কার্যক্রম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনার থাবা পড়েছে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে। দেশের অধিকাংশ শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র কনটেইনার জট। বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেও এর সমাধান না হওয়ায় চিন্তিত বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই সংকট উত্তরণে ১৪ এপ্রিল এক বিশেষ সভায় বসেছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা সহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এর কোনো ফলপ্রসূ সমাধান এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে তার সক্ষমতা। বন্দরের ভেতর সব ইয়ার্ড মিলিয়ে কন্টেইনার রাখা যেত সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার একক। ১৬এপ্রিল এমন অবস্থায় বন্দরের কার্যক্রম অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটকে পড়া সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার একক কন্টেইনার হচ্ছে তৈরি পোশাক কারখানার কাঁচামাল। এরপর আছে মাছ সহ তাজা ফল, আদা, রসুন, হলুদ, শিশু খাদ্য, ওষুধের কাঁচামাল প্রভৃতি।
এই সংকটের সমাধান কি জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ নিউজনাউকে বলেন, ‘কন্টেইনার স্থানান্তর করা গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
১৫ থেকে ২০ হাজার একক পণ্যভর্তি কন্টেইনার বন্দর ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে নেওয়া হবে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন, আমরা ১৫ এপ্রিল সেই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আমরা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে ব্যবসায়ীদেরই এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নিয়মিত এখন বিষয়টি তদারকি করছেন। পরিস্থিতির উন্নতি খুব তাড়াতাড়ি হবে বলে আশা করছেন এস এম আবুল কালাম। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে নিউজনাউকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য বন্দর থেকে ছাড় করতে পারছেন না। কারখানা না খুললে শিল্পের কাঁচামাল কিভাবে তাদের গুদামে নিবেন তা বুঝে উঠতে পারছি না। যদি পতেঙ্গা সাগর উপকূলে বে টার্মিনাল সচল হতো তাহলে বিপুল পণ্য রাখার একটা ভালো বিকল্প থাকতো। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বন্দর থেকে পণ্য ছাঁকনের পদক্ষেপ হিসেবে কোয়ারেন্টিন ও রেডিয়েশন পরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আনার উপর জোর দেন চেম্বার সভাপতি।