উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া কথা থাকলেও স্ত্রীর পার্সপোটের অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যাপক হুমায়ুনের মৃত্যু

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হেলানী (৪৫) মৃত্যু বরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন )। অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হেলালী চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) ভোর ৪ টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অধ্যাপক হুমায়ুন ডায়াবেটিস ও কিডনীজনিত রোগে দীর্ঘদিন দেশে ও ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের লরাবাগ গ্রামের মরহুম মোজাফ্ফর আহমদের ৪র্থ পুত্র।
মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, ৩ ছেলেসন্তান রেখে গেছেন। মরহুমের নামাজে জানাযা শনিবার বাদে আসর লরাবাগ কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।জানা যায়,সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তবে হাসপাতালের বেধে দেয়া নিয়মে স্ত্রীকে সাথে নিতে পাসপোর্টের জরুরি আবেদনের পর দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসেও তা হাতে না আসায় অস্ত্রোপচারে আর যাওয়া হলো না ভারতে।পাসপোর্টটির প্রহর গুনতে গুনতে মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই শনিবার ভোররাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তিনি। পাসপোর্টটি পেলে ভারত যাওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।তবে, পাসপোর্টটি জরুরি ভিত্তিতে না পাওয়ার বিষয়ে জানতে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুমের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।তার এলাকার জনসাধারণ বলছেন পাসপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় তিনি অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যদি তার স্ত্রীর পাসপোর্টটি পেত তাহলে ভারতে যেতে পারলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতে পারতেন। মৃত্যুর খবরে কক্সবাজার শহর সহ সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ১৮-০১-২০২০ ইং
- « রাতভর নাচানাচি আর পার্টিতেই কাটিয়েছে রাসেলরা
- সন্দ্বীপে শিশুর মেধা বিকাশে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সন্মাননা পেলো ৫ সংবাদিক »